মনিরুল ইসলাম: বাংলাদেশি একজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। জন্ম- ১৯৪৩।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
তিনি ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলার পাঠ শেষে চারুকলাতেই শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৬৬ সালে। এরপর ১৯৬৯ সালে স্পেন সরকারের বৃত্তি নিয়ে সে দেশে যান উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য। এর পর থেকে স্পেনেই স্থায়ীভাবে বাসবাস করে শিল্পচর্চা করছেন। স্পেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর বহু একক ও যৌথ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি স্পেন ও মিসরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনীতে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।
চিত্রকলায় অবদান
তিনি বিশেষ খ্যাতিমান তাঁর ছাপচিত্রের জন্য। কোচিংয়ে তিনি এমন একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছেন, যা স্পেনে ‘মনির স্কুল’ বলে পরিচিত।
তার ভালোলাগা
কালো রং মনিরুল ইসলামের প্রিয় হলেও সাদা, খাকি রঙের পোশাকও মাঝেমধ্যে পরা হয়। শীত ও অনুষ্ঠানে শার্টের সঙ্গে ব্লেজার ও জুতা পরেন। ফিতাওয়ালা জুতা ও টাই কখনোই পরেন না। আরামকে সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাই বেছে নেন ঢিলেঢালা পোশাক। স্পেনে সুতির হালকা রঙের শার্ট ও জিনস পরেন। বাংলাদেশে এলে খাদি কাপড় কিনে ফতুয়া তৈরি করে নেন। আর কোটি তাঁর খুব প্রিয় অনুষঙ্গ। কাজের সময় কোটি ও জিনস পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটির পকেটে থাকা চাই পকেট। যেখানেই যান, সেসব পকেটে নেন নোটখাতা ও কলম। সুযোগ পেলেই এঁকে ফেলেন ছবি। ছেলে আরমান ইসলামের সাথে টেনিস খেলতে ভালোবাসেন।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি
১৯৯৭ সালে তিনি স্পেনের রাষ্ট্রীয় পদক পান। ২০১০ সালে তিনি ভূষিত হন স্পেনের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা দ্য ক্রস অব দি অফিসার অব দি অর্ডার অব কুইন ইসাবেলায়। স্পেনের রাজা সপ্তম ফার্দিনান্দ রানী ইসাবেলার সম্মানে ১৮১৫ সালের ১৮ই মার্চ রয়্যাল অ্যান্ড আমেরিকান অর্ডার অব ইসাবেলা দ্য ক্যাথলিক নামের এই পদক প্রথম প্রবর্তন করেন। পরে ১৮৪৭ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রয়্যাল অর্ডার অব ইসাবেলা দ্য ক্যাথলিক। ১৯৯৮ সালে পদকটির বর্তমান নামকরণ হয়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার পাশাপাশি তিনি দেশে ১৯৯৯ সালে একুশে পদক, শিল্পকলা একাডেমী পদকসহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।