বার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তামেউ বার্সার প্রেসিডেন্ট থাকছেন কি-না। কিন্তু ততদিনের অপেক্ষা নয়! দ্রুতই বার্সা প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে হবে অনাস্থা ভোট। ওই ভোটে বার্তামেউয়ের বিপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পড়লেই দায়িত্ব ছাড়তে হবে তাকে।
বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তামেউয়ের পদত্যাগ চেয়ে স্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়। ওই কর্মসূচিতে ১৬ হাজার ৫২১ স্বাক্ষরের কোটা পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের সংগ্রহ করতে হতো ২০ হাজার ৬৮৭ স্বাক্ষর। তার মধ্যে সঠিক স্বাক্ষর হতে হতো সাড়ে ১৬ হাজার।
আরও পড়ুন: বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
সেটা হয়ে যাওয়ায় এখন তাই অনাস্থা ভোট হওয়া সময়ের অপেক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ থেকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে হতে হবে ওই অনাস্থা ভোট। যদি ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ ভোটার স্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালনাকারীদের পক্ষে ভোট দেন তবে বার্তামেউ ও তার বোর্ড সদস্যদের দায়িত্ব ছাড়তে হবে।
শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোট হলে বার্তামেউ হবেন বার্সার ১০০ বছরের ইতিহাসে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় প্রেসিডেন্ট। এর আগে দু’জন অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেও তাদের পদ ছাড়তে হয়নি। বার্তামেউয়ের জন্য কী অপেক্ষা করছে সেটা অবশ্য এখনই বলা চলে না।
কারণ মারিও বার্তামেউ এরই মধ্যে বার্সার ব্যর্থ প্রশাসক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছেন। বার্সার সমৃদ্ধ প্রজেক্ট গড়ে না ওঠা। ভালো ফুটবলার কিনতে না পারা। শিরোপার লড়াই করতে না পারা। আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়াসহ মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার জোর দাবির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বার্তামেউয়ের নাম। এতো বিতর্ক ছাপিয়ে বার্তামেউ অনাস্থা ভোটেও পার পেয়ে গেলে তার ভাগ্য ভালো এটা মানতেই হবে।
সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ০৭ অক্টোবর