ঢাকা, ০৬ অক্টোবর- উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে ধর্ষণসহ অনেক চাঞ্চল্যকর মামলা। বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টে আটকে যায়, গড়াতে থাকে বছরের পর বছর। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বীকার করলেন, জটের কারণে মনোযোগ হারায় এ মামলাগুলো।
৮ বছর আগে লক্ষ্মীপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হন এক নারী। বিচার শেষে ২০১৭ সালে এ মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০১৭ সালের মার্চে উচ্চ আদালতে যাওয়া মামলার শুনানি হয়নি এখনো।
চলন্ত বাসে সিরাজগঞ্জের রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসির রায় হয়েছে ২০১৮ সালে। ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসলেও দুই বছর ধরে রয়েছে ফাইলবন্দি।
এ রকম অসংখ্য মামলা বিচারাধীন দেশের উচ্চ আদালতে। বিষয়টি হতাশাজনক বলছেন আইন ও সালিসকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা।
তিনি বলেন, যখন বিষয়টি উচ্চ আদালতে আসে, তখন আর কিছুই দেখি না। কাজে এ বিষয়গুলো বাস্তবায়িত না হলে তো আমাদের কিছুই করার নেই। শাস্তি কঠোর হলো কি না? সেটার চেয়ে বড় বিষয়টি শাস্তি হবে এই বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তোলা।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে উচ্চ আদালতে আলাদা বেঞ্চ গঠনের পরামর্শ অ্যাডভোকেট এলিনা খান।
তিনি বলেন, এ কারণে জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়, এবং একধরনের অসন্তোষ দেখা যায়।
এসব মামলা নিষ্পত্তিতে অগ্রাধিকার দেয়ায় উদাসীনতার কথা স্বীকার করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: গোপাল কৃষ্ণ হত্যা: ফাঁসির তিন আসামির সাজা কমলো
অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এ মনির বলেন, এদিকে নজর না রাখলে এত মামলার জট এই মামলাগুলো রেডি করা সম্ভব পর হয়ে উঠে না। বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তাতে এর জন্য স্পেশালভাবে নজর দিতে হবে।
১৮০ দিনের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা নিষ্পত্তির আইনি ও হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও বিচারিক আদালতও তা মানছেন না বলে অভিযোগ আইনজীবীদের।
সূত্রঃ সময় নিউজ
আডি/ ০৬ অক্টোবর