দিনাজপুর, ০৬ অক্টোবর- দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিরল থানায় মামলা দায়ের হলে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ।
গত সোমবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদের ছেলে লিটন হোসেন (৩০) ও রাণীপুকুর ইউনিয়নের সুমন ইসলামের মেয়ে শানু আক্তার (২৪)। এই ঘটনার আরেক আসামি কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনে ছেলে মোস্তফা ওরফে ধলু (২৮) পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে শানু ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে লিটন হোসেন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। পরে শানুর সহায়তায় প্রথমে চক কাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে একটি ঘরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও মোস্তফা ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে পরের দিন ঢাকার বাইপাইল নামক স্থানে এক বাসায় নিয়ে আবারও দুজন ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহরণের ২৫ দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি সেই ছাত্রী
এদিকে শিশুটির পরিবার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে না পেয়ে খোঁজ করলে, ভিকটিমের সঙ্গে শানুকে এলাকার লোকজন কথা বলতে দেখেছে বলে জানায়। এ সময় শানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভিকটিমকে ওই দুজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
এরপর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর রাতে ওই শিশুটি বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন সোমবার রাতে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি মোস্তফা পলাতক আছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ০৬ অক্টোবর