ঢাকা, ৫ অক্টোবর- অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল শেখ রিমান্ড শেষ হওয়ায় আবদুল মালেককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে জিএম মিজানুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের ৫ মামলা আপিল বিভাগেও স্থগিত
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি টাকার জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর দুই মামলায় জিজ্ঞাসবাদের জন্য মালেকের সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের গাড়িচালক। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে ২০-২৫ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি তার কর্মস্থলে খুবই প্রভাবশালী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবীকে কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভবের মালিক হন।
র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে তার।
গ্রেপ্তারের পর মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪
আর/০৮:১৪/০৫ অক্টোবর