ঢাকা, ০৪ অক্টোবর- দুই শিশুর নিরাপত্তা ও বাসায় প্রবেশের প্রশ্নে মধ্যরাতে আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এ আদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগেও রাতে আদেশ দেওয়ার নজির উচ্চ আদালতে রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জামিন, ফাঁসির দণ্ড স্থগিত এবং রানা প্লাজায় জীবন বাঁচাতে অক্সিজেন সরবরাহের আদেশ।
আইনজীবীরা জানান, বিচারক যেখানে আদালত সেখানে। যে কোনো সময় বিচারক আদেশ দিতে পারেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কেএস নবীর দুই নাতিকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছেন না তাদের চাচা- একাত্তর টিভিতে এ বিষয়ে প্রচারিত এক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শনিবার দিনগত মধ্যরাতে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন আদালত।
আদেশে ওই শিশুকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় রেখে আসতে নির্দেশ দেন এবং রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে প্রতিবেদন দিতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে থানমন্ডি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) দুই শিশুকে বাসায় রেখে আসেন। একইসঙ্গে রোববার তিনি রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে প্রতিবেদন দেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের ৬ নির্দেশনা
এ বিষয়ে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, শনিবার রাতে যে আদেশ দিয়েছেন আদালত সেটার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। রাতে আদালত বসে এরকম আদেশ দেওয়ার আরও নজির আছে। যেমন কয়েক দশক আগে একজন রাজনৈতিক নেতা জাহাঙ্গীর আদেলকে রাতে জামিন দেওয়া হয়েছিল। বিচারক যেখানে আদালত সেখানে। যে কোনো সময় বিচারক আদেশ দিতে পারেন।
২০১৩ সালে রাত পৌনে ১১টায় বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বিশেষ বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দিয়েছিলেন। সেটা ছিল সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের আদেশ।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রাতে আদেশ দেওয়ার নজির আরো আছে। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজায় অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন আদালত রাতে আদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া ইনকিলাব সম্পাদককে রাতে জামিন দেওয়া হয়। বর্তমান দশকে একজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিষয়েও রাতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র : বাংলানিউজ
এম এন / ০৪ অক্টোবর