কুমিল্লা, ০৮ সেপ্টেম্বর- কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঘরের মাটি খুঁড়ে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে ১০ দিন পর ওই যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম মো. সোহেল মিয়া (৩২)। তিনি দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। পুলিশ সন্দেহভাজন সোহেলের ভাবি রোজিনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ আগস্ট রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাই ইব্রাহীম ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। এ ঘটনার ১০দিন পর সোহেলকে খুঁজে না পেয়ে নিহতের ভাগিনা মাইনুদ্দিন আহম্মেদ বড় ভাই ইব্রাহীমের কাছে সোহেল কোথায় আছে জানতে চান। এ সময় ঘাতক ইব্রাহিম জানান, সোহেলকে কুমিল্লায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নাম জানতে চাপ দিলে বড় ইব্রাহিম সোহেলকে মেরে ফেলা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা আরও জানান, পরে আশপাশের লোকজন ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দিলে সোহেলকে হত্যার পর নিজ বাড়ির একটি ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠান। এসময় ভাগিনাসহ স্থানীয়রা রোজিনা বেগমকে আটক করে পুলিশে দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ পাওয়ারে ভয়াবহ আগুন, ৪ জেলায় সংযোগ বন্ধ
আটক রোজিনা বেগম বলেন, ‘সোহেল প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। ঘটনার দুইদিন আগে (২৮ আগস্ট) সোহেল আমার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আমি এ বিষয়টি আমার স্বামী ইব্রাহীমকে জানালে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ঘাতক ইব্রাহীমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রোজিনা বেগম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলার আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই ঘাতক ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করা হবে।
সূত্র : আমাদের সময়
এম এন / ০৮ সেপ্টেম্বর