ফেনী, ১৯ জুলাই- পরকীয়ার জেরে ফেনী শহরের রামপুরে খামার কর্মচারী মোজাম্মেল হক সাগরকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫০ দিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নূরুন্নবী এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, ফেনী শহরের পাটোয়ারী বাড়ির একটি গরুর খামারের কর্মচারী সাগরকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। সাগরের পরকীয়া প্রেমিকা খালেদা আক্তার বৃষ্টি, তার স্বামী নয়ন ও ভাসুর রাজন মিলে তাকে হত্যা করেন।
আসামিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত ৩০ মে ফেনী শহরের রামপুর পাটোয়ারী বাড়ির সাদেক হোসেনের গরুর খামারের কর্মচারী সাগরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৫০ দিন জেলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জানতে পারেন সাগরের সাথে বৃষ্টির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।’
খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ‘সে সম্পর্কের সূত্র ধরে সাগর বৃষ্টির কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে এ সকল ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে চাপ প্রয়োগ করে বৃষ্টি। এসব মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানালে বৃষ্টি, তার স্বামী নয়ন ও ভাসুর রাজন গত ৩০ মে গরুর খামারে আসে। তখন তারা তিনজনে মিলে এসব ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে সাগরকে চাপ প্রয়োগ করে। এসময় তারা সাগরের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। না পেরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে এক পর্যায়ে নয়ন সাগরের গলায় দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায় সাগর।’
পুলিশ জানায়, নিহত সাগর নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার মো. হোসেন আলীর ছেলে। তিনি ওই খামারে প্রায় আট বছর কর্মরত ছিলেন। গত চার মাস আগে সাগর তার নিজ জেলা নেত্রকোনায় গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। অন্যদিকে, আসামিদের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তারা ফেনীর রানীরহাটে ভাড়া বাসায় থাকেন।
সূত্র : আমাদের সময়
এম এন / ১৯ জুলাই