Deshe Bideshe

DESHEBIDESHE

ইউনিজয়
ফনেটিক
English
টরন্টো, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ , ১৬ চৈত্র ১৪২৯

গড় রেটিং: 3.0/5 (22 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

আপডেট : ০৫-২৫-২০২০

বুলবুলের চেয়ে আম্পানে সুন্দরবনের ৩ গুণ বেশি ক্ষতি

বুলবুলের চেয়ে আম্পানে সুন্দরবনের ৩ গুণ বেশি ক্ষতি

খুলনা, ২৬ মে- ঘূর্ণিঝড় আম্পানে গতবছরের বুলবুলের চেয়ে ৩ গুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের। সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বন বিভাগের গঠিত চারটি কমিটির প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

সোমবার খুলনা অঞ্চলের বন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আম্পানের তাণ্ডবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ২১ মে চারটি কমিটি করে দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই কমিটিগুলো রোববার বিকালে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।

বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলেরর বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনকে সময় দিলে সিডর, আইলা ও বুলবুলের আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মত করেই আম্পানের ক্ষয়ক্ষতিও কাটিয়ে উঠবে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আম্পানের আঘাতে পশ্চিম সুন্দরবনের দুটি রেঞ্জ এলাকায় ১২ হাজার ৩৫৮টি গাছ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব গাছের মধ্যে গরান গাছের সংখ্যা বেশি, যার মূল্য প্রায় ১০ লাখ ১০ হাজার ৫৬০ টাকা।

বন বিভাগের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে অন্তত ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার। স্থাপনা, জেটি, উডেন ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ারসহ অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত।

পূর্ব সুন্দরবনের দুটি রেঞ্জ এলাকায় ২৬টি গাছ ভেঙেছে। এ বিভাগের আওতায় জব্দ থাকা বেশকিছু কাঠ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। তাতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩০ টাকা। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে বাঘ, হরিণসহ অন্য কোনো বন্যপ্রাণীর তেমন ক্ষতির তথ্য মেলেনি বলে ধারণা করছেন কন বিভাগের কর্মকর্তারা।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনে সব ধরনের গাছ কাটা নিষিদ্ধ। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গাছগুলো ওইভাবেই থাকবে। কোনো গাছ কাটা হবে না।

২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের ৪ হাজার ৫৮৯টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন বিভাগের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান গত ২০ মে দুপুরের পর সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। সে সময় এ ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সেই সঙ্গে ছিল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।

সূত্র : দেশ রূপান্তর
এম এন  / ২৬ মে

পরিবেশ

আরও সংবাদ

Bangla Newspaper, Bengali News Paper, Bangla News, Bangladesh News, Latest News of Bangladesh, All Bangla News, Bangladesh News 24, Bangladesh Online Newspaper
উপরে